তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ‘ONAB’ নেতৃবৃন্ধ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সাথে সংগঠনের কার্যক্রম এবং আগামীতে অনলাইন গণমাধ্যমের করনীয় বিষয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশকদের সংগঠন অনলাইন নিউজপোর্টাল এসোসিয়েশন, বাংলাদেশে এর নেতৃবৃন্ধ ।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় মিন্টু রোডের মন্ত্রীর সরকারী বাস ভবনে সংগঠনের সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে মতবিনিময়ে অংশ নেন নেতৃবৃন্ধরা।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা নিজেরা আত্মগোপনে থেকে কর্মী ও সন্ত্রাসীদের টাকা দিয়ে গাড়ি পোড়ানো, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেই তাদের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারেনা, এটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কাজ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সমস্ত সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারীকে ধরার জন্য বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি তিনি জনগণের কাছে আহবান জানিয়ে বলেন- ‘এরা দেশ, জাতি, সমাজের শত্রু, মানুষের শত্রু, এরা হিংস্র হায়েনার চেয়েও খারাপ; তাই এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন।’

এ সময় মন্ত্রী নিবন্ধিত অনলাইনসহ মূলধারার গণমাধ্যমকে গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে। এ কারণেই আমাদের সরকারের সময় গণমাধ্যমের অভূতপূর্ব বিকাশ বা “এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ” হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে, কিন্তু গণমাধ্যমের কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি আছে উল্লেখ করেন। দেশে এবং বিদেশ থেকে পরিচালিত কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনই এখন গুজব ছড়ানোর মাধ্যম হয়েছে। পদ্মাসেতু তৈরির সময়, রামু এবং নাসিরনগরের ঘটনাতেও তাই দেখা গেছে। মূলধারার গণমাধ্যমের অংশ হিসেবে নিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর দায়িত্ব গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা।

অনুষ্ঠানে প্রথমে মন্ত্রীর সাথে নেতৃবৃন্ধের পরিচয় করিয়ে আলোচনা শুরু করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহীন চৌধুরী। এরপর নির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মন্ত্রীর সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন।

এরপর ‘অনাব’-এর সভাপতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মতবিনিময়কালে তথ্য মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, সরকারের অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালায় যেসব অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধিত আছে তার বাহিরে অনেক পোর্টাল আছে, আদেশ আছে সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকার বা সংশ্লিষ্টরা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কিনা? আর যদি করে না খাকে তাহলে সি বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

মোল্লা আমজাদ বলেন, নিবন্ধিত অনলা্ইন পোর্টাল প্রকাশকরা প্রতি বছর নবায়ন ফি দিচ্ছে, কিন্তু সরকারের বর্তমান নীতিমালায় বিজ্ঞাপন পাওয়ার কোন সুযোগ পাচ্ছেনা, সে সব বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রাখেন, যেন বিজ্ঞাপন নীতিমালায় অনলাইন পোর্টারগুলোকে বিজ্ঞাপন প্রদানে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে।

তিনি মন্ত্রীকে আরো বলেন, শেয়ার বাজারসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইন বা ডিজিটালাইজ ভার্সনে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, কিন্তু সেগুলোতেও অনিবন্ধিত পোর্টালগুলোই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এবং যে সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তারা প্রিন্ট পত্রিকার অনলাইন ভার্সনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, যাতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন গুলো নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল গুলোকে দেওয়া হয়।

মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক অপু উকিল, নজরুল ইসলাম মিঠু, অয়ন আহমেদ এ দিন মতবিনিময়ে অংশ নেন।

সর্বশেষ নেতৃবৃন্ধ ‘অনলাইন বিজ্ঞাপন নীতিমালা’ প্রণয়নের দাবি উত্থাপন করলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বিষয়টি সুবিবেচনার আশ্বাস দেন।

Share this article

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top